Monday, February 18, 2019

হ্যাকিং কি ? হ্যাকিং এর উৎপত্তি ও হ্যাকারদের প্রকারভেদ এবং হ্যাকিং এর নানারকম পদ্ধতি।

হ্যাকিং কি ? হ্যাকিং এর উৎপত্তি ও হ্যাকারদের প্রকারভেদ এবং হ্যাকিং এর নানারকম পদ্ধতি।
হ্যাকিং হচ্ছে কারো কম্পিউটারে বা কম্পিউটেরের নেটওয়ার্কে অবৈধ অনুপ্রবেশ। আমরা হ্যাকিং বলতে বুঝি ওয়েবসাইট হ্যাকিং। কিন্তু না হ্যাকিং শুধু ওয়েবসাইট হ্যাকিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। হ্যাকিং হতে পারে কারো পার্সোনাল কম্পিউটার, ওয়েব সার্ভার, মোবাইল ফোন, ল্যন্ড ফোন, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক, ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস আরো কত কি। হ্যাকিং হচ্ছে কারো কম্পিউটারে বা কম্পিউটেরের নেটওয়ার্কে অবৈধ অনুপ্রবেশ। আমরা হ্যাকিং বলতে বুঝি ওয়েবসাইট হ্যাকিং। কিন্তু না হ্যাকিং শুধু ওয়েবসাইট হ্যাকিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। হ্যাকিং হতে পারে কারো পার্সোনাল কম্পিউটার, ওয়েব সার্ভার, মোবাইল ফোন, ল্যন্ড ফোন, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক, ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস আরো কত কি। হ্যাকাররা সাধারনত এসব যন্ত্র, কম্পিউটার, যন্ত্র, নেটওয়ার্কের ত্রুটি বের করে। এরপর সেই ত্রুটি ব্যবহার করেই হ্যাক করে করে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাল প্রোগ্রামিং জ্ঞান ব্যবহার করে বা নিজের তৈরী প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হ্যাক করে থাকে। তার মানে যারা হ্যাক করে তারা অনেক বিচক্ষন এবং অসাধারন কৌশন সম্পন্ন। হ্যাকিং এর উ্ৎপত্তিঃ ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ এর দশকে এম আই টি (M.I.T) ইঞ্জিনিয়ার রা প্রথম হ্যাকিং শব্দ টির প্রচলন সুরু করেন। এটা মুলত সুরু করা হয় Mainframe Computer এর কডিং ভাঙ্গার জন্য এবং শুধুই মজা করার উদ্দেশ্যে। পরের দশকে কিছু নীতিহীন হ্যাকার অনৈতিক উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোন হ্যাক শুরু করে। আগে তো কম্পিউটারের এত প্রচলন ছিলনা তখন হ্যাকার রা ফোন হ্যাকিং করত। ফোন হ্যকার দের বলা হত Phreaker এবং এ প্রক্রিয়া কে বলা হ্য Phreaking । এরা বিভিন্ন টেলিকমনিকেশন সিস্টেমকে হ্যাক করে নিজের প্রয়োজনে ব্যাবহার করত। হ্যাকার এর পরিচয়ঃ যে ব্যাক্তি হ্যাকিং practice করে তাকেই হ্যাকার বলে। এরা যে সিস্টেম হ্যাকিং করবে ঐ সিস্টেমের গঠন, কার্য প্রনালী, কিভাবে কাজ করে সহ সকল তথ্য আগে থেকে জানে। হ্যাকাদের প্রকারভেদঃ হ্যাকারদেরকে সাধারনত hat( টুপি) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। মানুষের মধ্যে উত্তম, মধ্যম এবং হীন এই তিন প্রকৃতির মানুষ রয়েছে। হ্যাকারদের মধ্যেও নিয়মনীতি এবং কার্যপ্রনালী বিবেচনা করে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। (০১) White Hat Hacker, (০২) Gray Hat Hacker, (০৩) Black Hat Hacker, White hat hacker এর পরিচয়ঃ যেসব হ্যাকাররা তাদের হ্যাকিং কৌশকে ভাল উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকে সাধারনত তাদেরকে white hat hacker বলা হয়। White Hat Hacker রা কোন সিস্টেমের, নেটওয়ার্কের ত্রুটি বের করে তা মালিক বা কোম্পানীকে দ্রুত জানিয়ে সতর্ক করে দেয়। White Hat Hacker রা ব্যাংক, বড় বড় কোম্পানি, প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কের সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারদের মূল দ্বায়িত্ব।  Gray Hacker এর পরিচয়ঃ Grey hat hacker কে পন্থা অবলম্বনকারী মানুষের সাথে তুলনা করা যায়। এরা ভালোও করতে পারে আবার খারাপও করতে পারে। এরা যখন একটি একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে তখন সে তার মন মত কাজ করবে। তার মন ঐ সময় কি চায় সে তাই করবে। সে ইচ্ছে করলে ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে ত্রুটিসমূহ জানাতে পারে অথবা নষ্টও করতে পারে। আবার তা নিজের স্বার্থের জন্য ও ব্যবহার করতে পারে। এই ধরনের হ্যাকাররা গ্রে হ্যাট হ্যকারা এ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। Black hat Hacker এর পরিচয়ঃ এরা হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রকৃতির হ্যাকার। এরা কোন একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করলে দ্রুত ঐ ত্রুটি কে নিজের স্বার্থে কাজে লাগায়। ঐ সিস্টেম নষ্ট করে। বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। ভাবিষ্যতে নিজে আবার যেন ঢুকতে পারে সে পথ রাখে। সর্বোপরি ঐ সিস্টেমের অধিনে যে সকল সাব-সিস্টেম রয়েছে সে গুলোতেও ঢুকতে চেষ্টা করে। এদের কারনেই সবচেয়ে বেশি সাইবার ক্রাইম হয় এবং ইন্টারনেটে ধ্বংসাত্ত্বক ভাইরাস এরাই তৈরী করে থাকে। হ্যকাররা অনেক বুদ্ধিমান এটা সর্বোজন স্বীকৃত বা সবাই জানে। অনেক ভালো ভালো হ্যাকার জীবনেও কোন খারাপ হ্যাকিং করে নি। কিন্তু তারা ফাঁদে পড়ে বা কারো উপর রাগ মিটানোর জন্য একটি হ্যাকিং করল। তখন আপনি তাকে উপরের কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবেন? সেও Grey Hat Hacker কারন তার হ্যাকিং টা নির্ভর করছে তার ইচ্ছে বা চিন্তার উপর। নিচে আরো কয়েক প্রকারের হ্যকারদের সংগে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিঃ Anarchists: Anarchists হচ্ছে ঐ সকল হ্যাকার যারা বিভিন্ন কম্পিউটার সিকিউরিট সিস্টেম বা অন্য কোন সিস্টেম কে ভাঙতে পছন্দ করে। এরা যেকোন টার্গেটের সুযোগ খুজে কাজ করে। Crackers: অনেক সময় ক্ষতিকারক হ্যাকার দের ক্র্যাকার বলা হয়। খারাপ হ্যকাররাই ক্র্যাকার। এদের শখ বা পেশাই হচ্ছে ভিবিন্ন পাসওয়ার্ড ভাঙ্গা এবং Trojan Horses তৈরি করা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক সফটয়ার তৈরি করা। ক্ষতিকারক সফটওয়ারকে Warez বলে। এসব ক্ষতিকারক সফটওয়ারকে তারা নিজেদের কাজে ব্যবহার করে অথবা বিক্রি করে দেয় নিজের লাভের জন্য। Script kiddies: এরা কোন প্রকৃত হ্যকার নয়। এদের হ্যাকিং সম্পর্কে কোন বাস্তব জ্ঞান নেই। এরা বিভিন্ন Warez, হ্যাকিং টুলস ব্যবহার করে হ্যাকিং করে থাকে। হ্যাকাররা অনেক ভাবে হ্যাকিং করে। তার মধ্যে আমরা কয়েক প্রকারের হ্যাকিং সম্পর্কে আলোচনা করবঃ পিশিং: পিশিং সম্পর্কে আমরা সবাই কিছু না কিছু জানি। আমি নিচে কিছু লিঙ্ক শেয়ার করছি এগুলো পড়লে আরো ভালো ভাবে জানতে পারবেন এবং নিজেকে পিশিং এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। Denial of Service attack: Denial of Service attack সংক্ষেপে DoS Attack একটি প্রক্রিয়া যেখানে হ্যাকাররা কোন একসেস না পেয়েও কোন নেটওয়ার্ক এ ঢুকে তার ক্ষমতা নষ্ট করে। DoS Attack এ নেট কানেকশন বা রাউটারের ট্যারিফ বাড়িয়ে দেয়। Trojan Horses : Trojan Horses হচ্ছে একটি প্রোগ্রাম যা অন্যান্য প্রোগ্রামকে নষ্ট করে। এটিকে সবাই ভাইরাস নামেই চিন। Trojan Horses ব্যবহার করে অন্যান্য প্রোগ্রাম নষ্টের পাশা পাশি পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য তথ্য হ্যাকারদের কাছে সংকৃয় ভাবে পৌছিয়ে দেয়। Back Doors: Back Doors খুজে বের করে হ্যাকাররা কোন সিস্টেম কে কাজে লাগায়। Back Doors গুলো হচ্ছে প্রশাসনিক সহজ রাস্তা, configuration ভুল, সহজে বুঝতে পারা যায় এমন passwords, এবং অসংরক্ষিত dial-ups কানেকশন ইত্যাদি। এরা কম্পিউটার এর সাহায্যে এ ত্রুটি গুলো বের করে। এ গুলো ছাড়া ও অন্যান্য দুর্বল জায়গা ব্যবহার করে কোন নেটওয়ার্ক কে কাজে লাগায়। Rogue Access Points : কোন ওয়ারলেস নেটওয়ার্কে প্রবেশের জন্য হ্যাকাররা Rogue Access Points ব্যবহার করে। এছাড়াও আরো অনেক ভাবে হ্যকাররা হ্যাকিং করতে পারে যা আপনারা ধীরে ধীরে জানতে পারবেন। আজ এই পর্যন্তই। আগামি পর্বে আলোচনা করব এন্টি হ্যাকিং বা হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়সমূহ নিয়ে।